এই সংবাদগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন, দেশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন।

image

হুমম

image

ফেনী সদরের বড় মসজিদের নামাজের সময় দেখানো স্কিনের 'জয় বাংলা, আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে 'লেখা দেখা যাওয়ায় মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় মসজিদের ম্যানেজারকে আটক করেছে পুলিশ।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

image

এই রকম হলে দুই একজন বাদে,
সব তো ভিতরে ঢুকে যাবে তাহলে! 😁

image

image

image

image

আফগান কি জয় হো
পাকিস্তানের বাজাউরে একটি সেনাপোস্ট দখলে নিয়েছে টিটিপি।

image

ইসলামের প্রতিনিধি তথা আলিমদের বক্তব্য সবজায়গায় সুস্পষ্ট হওয়া উচিত; সেটা টকশো হোক কিংবা বিশ্ব মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার হোক। যেহেতু আমাদের গোপন কোন এজেন্ডা নেই। আমাদের এজেন্ডা বা মিশন আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করা বা আল্লাহর জন্য নির্ধারিত ও সংরক্ষিত সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা, শারীআহ শাসন বাস্তবায়ন করা।

গণতন্ত্র ও শারীআহ শাসন প্রশ্নে তিনি এভাবে বলতে পারতেন, গণতন্ত্র বলতে যদি জনগণের সার্বভৌমত্ব বা বিধান প্রণয়ন বুঝায় তাহলে আমরা সেটা প্রত্যাখ্যান করবো। গণতন্ত্র বলতে যদি ট্র।ন্সজেন্ড।র বা সমক।মীতার বৈধতা দেয়া, বাক স্বাধীনতা বা মুক্ত চিন্তার নামে নাবী ﷺ কে অবমাননা করার সুযোগ দেয়া, কুরআন পোড়ানোর বৈধতা দেয়া, মুসলিম ভূখণ্ডে হামলার বৈধতা দেয়া বুঝায়; গণতন্ত্র বলতে যদি অশ্লীলতা-বেহায়াপনা, পতিতালয়ের লাইসেন্স দেয়া, মদ-জোয়া, মাদক ইত্যাদির বৈধতা দেয়া বুঝায়; বিভিন্ন দল তৈরি করে দলাদলি হানাহানি, বিরোধী দলের উপর পুলিশী নির্যাতন, গুম-খুন, স্বজনপ্রীতি, দলপ্রীতি, বৈষম্য ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা বুঝায় তাহলে আমরা সেই গণতন্ত্রকে লাথি মারি।

পক্ষান্তরে গণতন্ত্র বলতে যদি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সুশাসন প্রতিষ্ঠা বুঝায়, যেখানে আইনের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রের সকল নাগরিক সমান। গণতন্ত্র বলতে যদি, রাজা ও প্রজার মধ্যে আইনের দৃষ্টিতে কোন পার্থক্য থাকবে না, রাষ্ট্র প্রধানদের ভুল রাষ্ট্রের যেকোন নাগরিক বলতে পারবে, মানবধিকার, নারীদের যথাযথ অধিকার ও তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, সকল অবিচার, বৈষম্য, মাদক, গুম-খুন, স্বজনপ্রীতি দূর করে নিরাপদ ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি বুঝায় তাহলে আমি বলবো শারীআহ শাসন এক্ষেত্রে গণতন্ত্রের চেয়ে হাজার ধাপ এগিয়ে আছে।

আমাদের বার্তা পরিষ্কার- মুসলিম হতে হলে তাকে শারীআহ শাসন বা খিল।ফ।হ ব্যবস্থা চাইতে হবে অন্যথায় তার নাম ঈমানদারের খাতায় থাকবে না। আল্লাহ আযযা ওয়া জাল বলেন,
ألا له الخلق والأمر
“জেনে রাখো, সৃষ্টি যার আইন/বিধান চলবে কেবল তাঁর।” [সূরা আরাফ, আয়াত ৫৪]

হানাফি মাযহাবের প্রখ্যাত ফকিহ ইমাম আবু লাইস সমরখন্দী রহিমাহুল্লাহ এই আয়াতের তাফসীরে বলেন,
و هو الذي خلق الاشياء كلها و أمره نافذ في خلقه
“তিনিই সেই মহান সত্ত্বা, যিনি পৃথিবী এবং সমস্ত বস্তু সৃষ্টি করেছেন। আর তাঁর হুকুম ও আইন'ই এখানে বাস্তবায়িত হবে।” [তাফসীরে বাহরুল উলুম, সূরা আরাফ ৫৪]

মহান আল্লাহ বলেন,
وَاَنِ احۡكُمۡ بَيۡنَهُمۡ بِمَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰهُ وَلَا تَتَّبِعۡ اَهۡوَآءَهُمۡ
“আর তুমি তাদের মধ্যে শাসনকার্য/বিচার ব্যবস্থা পরিচালনা কর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী, তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করবে না।” [সূরা মায়িদাহ, আয়াত ৪৯]

আল্লাহ আযযা ওয়া জাল অন্য আয়াতে বলেন,
أفحكم الجاهلية يبغون ومن أحسن من الله حكما لقوم يوقنون
“তারা কি জাহেলিয়াতের শাসন চায়? দৃঢ়বিশ্বাসীগণের জন্য আল্লাহর চেয়ে উত্তম আইন-বিধান দাতা আর কে হতে পারে?” [সূরা আল মায়িদাহ, আয়াত ৫০]

আল্লামা ইবনে কাসীর রহিমাহুল্লাহ এই আয়াতের তাফসীরে বলেন,
“যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আল্লাহ ও রসূলের নির্দেশিত পথে ফিরে না আসবে এবং ছোট বড় সকল ব্যপারে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আইন অনুযায়ী বিচার নিষ্পত্তি না করবে ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে জি হ। দ চালাতে হবে। ইবনে আবু হাতিম রহি. বর্ণনা করেন, হাসান রদ্বি. বলেন, যে লোক আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য বিধানমতে বিচার করে সে জাহিলি যুগের মতো বিচার করে।” [তাফসীর ইবনে কাসীর, সূরা আল মায়িদাহ ৫০]