image

image

image

আফগান কি জয় হো
পাকিস্তানের বাজাউরে একটি সেনাপোস্ট দখলে নিয়েছে টিটিপি।

image

ইসলামের প্রতিনিধি তথা আলিমদের বক্তব্য সবজায়গায় সুস্পষ্ট হওয়া উচিত; সেটা টকশো হোক কিংবা বিশ্ব মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার হোক। যেহেতু আমাদের গোপন কোন এজেন্ডা নেই। আমাদের এজেন্ডা বা মিশন আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করা বা আল্লাহর জন্য নির্ধারিত ও সংরক্ষিত সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা, শারীআহ শাসন বাস্তবায়ন করা।

গণতন্ত্র ও শারীআহ শাসন প্রশ্নে তিনি এভাবে বলতে পারতেন, গণতন্ত্র বলতে যদি জনগণের সার্বভৌমত্ব বা বিধান প্রণয়ন বুঝায় তাহলে আমরা সেটা প্রত্যাখ্যান করবো। গণতন্ত্র বলতে যদি ট্র।ন্সজেন্ড।র বা সমক।মীতার বৈধতা দেয়া, বাক স্বাধীনতা বা মুক্ত চিন্তার নামে নাবী ﷺ কে অবমাননা করার সুযোগ দেয়া, কুরআন পোড়ানোর বৈধতা দেয়া, মুসলিম ভূখণ্ডে হামলার বৈধতা দেয়া বুঝায়; গণতন্ত্র বলতে যদি অশ্লীলতা-বেহায়াপনা, পতিতালয়ের লাইসেন্স দেয়া, মদ-জোয়া, মাদক ইত্যাদির বৈধতা দেয়া বুঝায়; বিভিন্ন দল তৈরি করে দলাদলি হানাহানি, বিরোধী দলের উপর পুলিশী নির্যাতন, গুম-খুন, স্বজনপ্রীতি, দলপ্রীতি, বৈষম্য ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা বুঝায় তাহলে আমরা সেই গণতন্ত্রকে লাথি মারি।

পক্ষান্তরে গণতন্ত্র বলতে যদি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সুশাসন প্রতিষ্ঠা বুঝায়, যেখানে আইনের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রের সকল নাগরিক সমান। গণতন্ত্র বলতে যদি, রাজা ও প্রজার মধ্যে আইনের দৃষ্টিতে কোন পার্থক্য থাকবে না, রাষ্ট্র প্রধানদের ভুল রাষ্ট্রের যেকোন নাগরিক বলতে পারবে, মানবধিকার, নারীদের যথাযথ অধিকার ও তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, সকল অবিচার, বৈষম্য, মাদক, গুম-খুন, স্বজনপ্রীতি দূর করে নিরাপদ ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি বুঝায় তাহলে আমি বলবো শারীআহ শাসন এক্ষেত্রে গণতন্ত্রের চেয়ে হাজার ধাপ এগিয়ে আছে।

আমাদের বার্তা পরিষ্কার- মুসলিম হতে হলে তাকে শারীআহ শাসন বা খিল।ফ।হ ব্যবস্থা চাইতে হবে অন্যথায় তার নাম ঈমানদারের খাতায় থাকবে না। আল্লাহ আযযা ওয়া জাল বলেন,
ألا له الخلق والأمر
“জেনে রাখো, সৃষ্টি যার আইন/বিধান চলবে কেবল তাঁর।” [সূরা আরাফ, আয়াত ৫৪]

হানাফি মাযহাবের প্রখ্যাত ফকিহ ইমাম আবু লাইস সমরখন্দী রহিমাহুল্লাহ এই আয়াতের তাফসীরে বলেন,
و هو الذي خلق الاشياء كلها و أمره نافذ في خلقه
“তিনিই সেই মহান সত্ত্বা, যিনি পৃথিবী এবং সমস্ত বস্তু সৃষ্টি করেছেন। আর তাঁর হুকুম ও আইন'ই এখানে বাস্তবায়িত হবে।” [তাফসীরে বাহরুল উলুম, সূরা আরাফ ৫৪]

মহান আল্লাহ বলেন,
وَاَنِ احۡكُمۡ بَيۡنَهُمۡ بِمَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰهُ وَلَا تَتَّبِعۡ اَهۡوَآءَهُمۡ
“আর তুমি তাদের মধ্যে শাসনকার্য/বিচার ব্যবস্থা পরিচালনা কর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী, তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করবে না।” [সূরা মায়িদাহ, আয়াত ৪৯]

আল্লাহ আযযা ওয়া জাল অন্য আয়াতে বলেন,
أفحكم الجاهلية يبغون ومن أحسن من الله حكما لقوم يوقنون
“তারা কি জাহেলিয়াতের শাসন চায়? দৃঢ়বিশ্বাসীগণের জন্য আল্লাহর চেয়ে উত্তম আইন-বিধান দাতা আর কে হতে পারে?” [সূরা আল মায়িদাহ, আয়াত ৫০]

আল্লামা ইবনে কাসীর রহিমাহুল্লাহ এই আয়াতের তাফসীরে বলেন,
“যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আল্লাহ ও রসূলের নির্দেশিত পথে ফিরে না আসবে এবং ছোট বড় সকল ব্যপারে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আইন অনুযায়ী বিচার নিষ্পত্তি না করবে ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে জি হ। দ চালাতে হবে। ইবনে আবু হাতিম রহি. বর্ণনা করেন, হাসান রদ্বি. বলেন, যে লোক আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্য বিধানমতে বিচার করে সে জাহিলি যুগের মতো বিচার করে।” [তাফসীর ইবনে কাসীর, সূরা আল মায়িদাহ ৫০]

তাড়াতাড়ি করুন। কথা নয় কাজে দেখতে চাই।

image

দেশপ্রেমিক ছাত্র ও সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে আমাদের দাবিগুলো নিম্নরূপঃ

১. রাষ্ট্রপতি চুপ্পি দালালকে সরান।

২. সংবিধান বাতিল করুন।

দেশের সব পর্যায়ে বিশেষ করে সৃজনশীল, জ্ঞানী তরুণ, মধ্যবিত্ত ও অতি দরিদ্র মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে এমন একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করুন।
৩. দুর্নীতিবাজ গনহত্যাকারীদের শাস্তির আওতায় আনুন।

অতীতে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের সমর্থন দেওয়া এবং এখনও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে এমন প্রত্যেক নেতা, কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষ করে সচিব পর্যায়ের দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করুন।তাদের গণহারে জেলে প্রেরণ করুন।
৪. উপদেষ্টা পরিষদে পরিবর্তন আনুন।

দেশপ্রেমিক, চরিত্রবান এবং ভারতবিরোধী ব্যক্তিদের মন্ত্রিপরিষদে অন্তর্ভুক্ত করুন।

৫. বিএনপির দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন।

টাকা ও ক্ষমতার নেশায় মত্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

৬.
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে সকল ভারতঘনিষ্ট দুর্নীতিবাজ চরিত্রহীন কর্মকর্তা ও অফিসার শাস্তি আওতায় আনুন।

বিশেষ করে সেনাবাহিনীর প্রধানকে পরিবর্তন করুন ও একজন চরিত্রবান দুর্নীতিমুক্ত ভারতবিরোধী লোককে সেনাবাহিনীর প্রধান করুন।

উপরের দাবিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য সৎ, চরিত্রবান, ভারত ও আওয়ামীলীগ বিরোধী ব্যাক্তিদের দিয়ে শক্ত কমিটি তৈরি করুন।

Hasnat Abdullah
গণতান্ত্রিক শকুনদের সাথে ছাত্রদের লড়াইটা জমে উঠেছে!!
তবে আফসুসের কথা হলো, ছাত্ররা নিজেরাই শকুন হবার পথে চলে যাবে যদি ভুল করে৷

আসলে সমস্যাটা গোড়াতেই তৈরী হয়ে আছে। আমরা যে লড়াইটা করলাম তা ছিল জুলুম, অপশাসনের বিরুদ্ধে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে। এবং এই জুলুমের শাসন গণতন্ত্র নামক শয়তানী সিস্টেমের কারণেই সৃষ্টি হয়েছিল।

এদিকে লড়াই শেষে যখন একজন জালিমের সাময়িক বিদায় হলো, তখন বলা হচ্ছে এই লড়াইটা গণতন্ত্র এবং সেকুলারিজম প্রতিষ্ঠার লড়াই ছিল।

চোখের সামনে থেকে ইনসাফ বাদ দিয়ে দিল। গণতন্ত্রকে সুশাসনের একমাত্র সোল এজেন্ট করে রাখা হলো। সেকুলার গণতন্ত্রকে এমন পবিত্র বানিয়ে রাখা হলো যে, আর কোন আলোচনাই আনা যাবে না।

আসলে এটাই সেই হুবাল মূর্তি যা শয়তানকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখে। কারণ ইনসাফের সাথে আল্লাহর সম্পর্ক আর জুলুমের সাথে শয়তানের। গণতন্ত্র সেই শয়তানেরই প্রদত্ত সিস্টেমের নাম যা জুলুম তৈরী করে।

আপনি যখন ইনসাফ প্রতিষ্ঠার কথা বলবেন, তখন ইনসাফ কি তা ডিফাইন করতে হবে। এরপর আসবে ঐ ইনসাফ প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি কি তা নিয়ে আলোচনা।

২৪ এর বিপ্লব পরবর্তী আমাদের সকল আলোচনার কেন্দ্রে থাকা দরকার ছিল এটাই যে, এবার আমরা কোন আইন দিয়ে কোন পদ্ধতিতে শাসিত হবো। কিন্তু আমাদেরকে আগে থেকেই সেট করে দেয়া হয়েছে যে, এই গণতন্ত্রের মূর্তিটা ভাঙ্গা যাবে না, যা করবে এটাকে পূঁজা করেই, এর বাইরে যাওয়া যাবে না।

আমি বিশ্বাস করি এখনো যে, তরুণরা নষ্ট হয়ে যায়নি। তারা এখনো বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ করে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

তাহলে চলো আলোচনা করি কোন ব্যবস্থা দিয়ে এই ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব তা নিয়ে। এবং সংস্কার, নির্বাচনের খেলা তো তাদের খেলা যারা পুরো পৃথিবীতে জুলুম কায়েম করে রেখেছে। আমাদের খেলা তো এটা না।

গণতান্ত্রিক শকুনরা ওঁত পেতে আছে, কখন ইলেকশন হবে, আবার আমরা হরিণ শিকার করবো। তারপর সবাই মিলে ক্ষমতার হরিণকে ভাগ করে খাব।

৭১ এ একিভাবে মানুষ ইনসাফের আশায় রক্ত দিল, ৯০ তেও দিল। কিন্তু একিভাবে সেটাকে হাইজ্যাক করে নিল পুরনো শকুনরা। তারা কোনভাবেই মানুষের আইন তৈরী করার শয়তানী সিস্টেমের মূর্তি ভাঙ্গতে দেয়নি।

আপনারা বুঝতে পারছেন কেন অন্য দলগুলো চায় না আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ হোক?
কারণ তারা নিজেরাও একি রকম দল, অচিরেই একি কারণে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবী উঠবে।

মানবজাতির জন্য কোন ব্যবস্থা সঠিক ও কোনটা ইনসাফ তা বের না করে আর যাই করেন সমাধান হবে না, বরং বিপ্লবের ধারকরাই জালিমে পরিণত হবে অচিরেই। আমরা যেন জালিমে পরিণত হবার আগেই বিষয়টা বুঝতে পারি সেই কামনায়....

সরকার কী করছে?

একটা কথা বলে রাখি, পুলিশের মধ্যে ভাল-মন্দ মিক্সড থাকলেও র‍্যাবের ৯৯% ই হলো হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন এবং আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজমের সাথে জড়িত। সুতরাং এদেরকে সমূলে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।

image