🤲🤲

image

শিখে রাখেন কাজে আসবে ইনশাআল্লাহ

image

কোন কাজ আগামীকালের জন্য রাখা উচিত নয়। আজকের কাজ আজকে করুন। কাজের গতিময়তা ঠিক থাকবে। জীবন সুন্দর হবে।

© আরিফ আজাদ সাহেব

image

মাঝে মাঝে কিছু মন খারাপের কারণ খুঁজে পাই না।

মন হয়তো খারাপ, কিন্তু জানিই না যে ঠিক কী কারণে মন এমন বিচ্ছিন্ন আর উদাস হয়ে আছে। পূর্বাপর সব ঘটনাগুলোতে চোখ বুলিয়েও কোন যুতসই কারণ বের করা যায় না।

এমন অ-কারণ মন খারাপের একটা কারণ হতে পারে সালাতের প্রতি আমাদের উদাসীনতা। আমরা আমাদের সালাতের ব্যাপারে যথেষ্ট যত্নশীল নই।


আপনি হয়তো বলবেন, 'কই, আমি তো সালাত ত্যাগ করি না ভাই। কিন্তু তা-ও কেনো আমার মাঝে মাঝে অ-কারণ মন খারাপ হয়?'


'সালাতে যত্নশীল হওয়া' বলতে আমরা যা বুঝি তা হচ্ছে— সালাত ত্যাগ না করা। কিন্তু, এটুকুই কেবল সালাতের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়ার জন্যে যথেষ্ট নয়।


ঠিক সময়ে আমি সালাত আদায় করছি কি-না, সালাতে আমার খুশুখুযু তথা মনোযোগ ঠিকঠাক রাখতে পারছি কি-না এসবও সালাতের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়ার অন্তর্ভুক্ত।


ফযরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে এলো প্রায়। ঘড়িতে আর মিনিট পাঁচেক বাকি। তড়িঘড়ি করে উঠে আমি বুলেটের গতিতে ওযু করে জায়নামাজে দাঁড়ালাম৷ হাতে আমার সময় কেবল সাড়ে তিন মিনিট। সুন্নাহ তো বাদ-ই গেলো, এই তিন মিনিটে আমাকে শেষ করতে হবে দুই রাক'আত ফরয সালাত!

সাড়ে তিন মিনিট সময়ে দুই রাক'আত সালাত কতোখানি যত্ন আর আন্তরিকতার সাথে আদায় করা যায় ভাবুন তো!


এই ঘটনা যদি আমার নিত্যদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়ায়, যদি আসর আর মাগরিবেও আমাকে এমন হুলস্থুল করে নিয়মিত সালাত আদায় করতে হয়, তাহলে সালাতের ব্যাপারে আমাকে জরুরিভাবে ভাবতে হবে বৈকি!


সালাতের সময় নিয়ে যদি আমাকে রোজ এভাবে দৌঁড়ঝাপ করতে হয়, তাহলে আমি সালাত-সমাপ্তকারী হবো বটে, আদায়কারী হয়ে উঠতে পারবো না।

হাসান আল বাসরী রাহিমাহুল্লাহর একটা সুন্দর উক্তি আছে৷ তিনি বলেছেন:


'যখনই আপনি আপনার সালাতকে ঠিক করতে পারবেন, দেখবেন আপনার জীবনটাও ঠিক হতে শুরু করেছে। যদি আপনার মনে হয়— কেনো আপনার রিযক সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, কেনো আপনার বিয়ে হতে দেরি হচ্ছে, কেনো আপনার কাজে বারাকাহ কমে যাচ্ছে, কেনো দিন দিন খারাপ হচ্ছে আপনার স্বাস্থ্য, তাহলে আপনাকে বলবো আপনার সালাতের দিকে নজর দিন। দেখুন তো— সালাত আদায়ে আপনি দেরি করেন না তো?'


আমার অ-কারণ মন খারাপের কারণ হয়তো এখানেই যে— যথার্থ সময়ে এবং যথাযথ ভাবে আমি সালাত আদায় করতে ব্যর্থ হচ্ছি।

আরিফ আজাদ।

এবার বিশ্ব ইজতেমা হবে এক পর্বে আলেমদের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ

image

ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়তে পেড়েছি আলহামদুলিল্লাহ।

আমাদের সকল প্রশান্তি এই মোনাজাতে নিহিত। রাব্বে কারীম আমাদের নেক মাকছাদগুলো পুরা করুন৷

image

আমাদেরকে দেখান সরল সঠিক পথ-

© আরিফ আজাদ সাহেব।

image

পরিবারে ইসলামের চর্চা

মাওলানা আতীক উল্লাহ

১: অভিজ্ঞ একজন আলিম (মুফতি)-এর সাথে পারিবারিকভাবে যুক্ত থাকা আবশ্যক। যাকে মাঝেমধ্যে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে আনা যাবে। প্রয়োজনে যার কাছে গিয়ে মাসয়ালা চাওয়া যাবে। পরামর্শ করা যাবে। সময়সুযোগ মতো হুজুর বাড়িতে এসে অল্পসময় দ্বীনি কথা শোনাবেন। কোনও অসঙ্গতি চোখে পড়লে, হেকমতের সাথে ধরিয়ে দেবেন।

২: আলিমকে দাওয়াত দেয়ার সময় তার আহলিয়াকেও দাওয়াত দেয়া জরুরী। তাহলে বাড়ির মহিলাগন হুজুরের আহলিয়ার সাথে পরিচিত হবেন। প্রয়োজনে তাঁর মাধ্যমে হুজুরের কাছ থেকে মাসয়ালা জেনে নেবেন। আমি এই কাজের মাধ্যমে শুধু নিজেই লাভবান হচ্ছি তা নয়, একটি দাঈ পরিবার গড়ে উঠতেও সাহায্য করছি।

৩: সবজান্তা নিষ্পাপ হুজুর খুঁজলে, জীবনেও মিলবে না। সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা ও দোয়া করার পর, আল্লাহ যাকে মিলিয়ে দেন, ভাল। নিজের অবস্থানের আশপাশের হুজুর হওয়া জরুরী। যখন তখন তাকে পাওয়া যাবে। কাছেপিঠে অভিজ্ঞ কাউকে পাওয়া না গেলে, দূরের কারো শরণাপন্ন হতে হবে। কয়েকবাড়ি মিলে। কয়েকমহল্লা মিলে হুজুরকে সসম্মানে আনতে হবে। ব্যাপক আয়োজনের তো দরকার নেই। এলাকার যুবকশ্রেণী চাইলে, অতি অনায়াসে এই ব্যবস্থা করা সম্ভব।

৪: সচেতন (প্র্যাকটিসিং) মুসলিম হয়েও একজন আলিমের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ না থাকাটা খুবই দুঃখজনক। আমাদের উপন্যাস ‘ইশকুল অব লাভে’ বিষয়টি বলার চেষ্টা করেছিলাম। হয়তো ওভাবে বলতে পারিনি। প্রকাশিতব্য উপন্যাস ‘দোস্ত, জানেমানেও’ এ-বিষয়টা তুলে আনার চেষ্টা করেছি। এই উদ্দেশ্য সামনে রেখে ঘরোয়া মাহফিল নামে আমরা একটি গ্রুফও খুলেছিলাম। বেশিদূর অগ্রসর হতে পারিনি। ইন শা আল্লাহ শিঘ্রি সচল হবে।

৫: ইসলামচর্চার এটাই আবহমান ধারা। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাল থেকেই এই ধারা চলে আসছে। বর্তমানে সমাজে হুজুরদের দাওয়াত করে খাওয়ানোর যে ধারা প্রচলিত আছে, এটা কিন্তু সেই নববী ধারারই পরিবর্তিত রূপ। শুধু খাওয়া-দাওয়াটুকু বাকি আছে, বাকি মূল উদ্দেশ্য অন্তর্হিত হয়ে গেছে।

৬: একজন হুজুরের সাথে কীভাবে সম্পর্ক গড়ে উঠবে? হুট করে গিয়েই বলব, হুজুর আপনাকে আমাদের পারিবারিক হুজুর হতে হবে, এভাবে? উঁহু! হুজুরের সাথে প্রথমে কিছুদিন এমনি সৌজন্য সাক্ষাত করতে হবে। সম্ভব হলে তাওফীক অনুযায়ী হাদিয়া প্রদানও হতে পারে। ধীরে ধীরে সম্পর্কটা পাকা করে তুলতে হবে। তারপর বাড়িতে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।

৭: সম্ভব হলে, পুরো পাড়া বা মহল্লার সবাই একজোট হয়ে একজন হুজুরের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি। মাসে অন্তত একবার হলেও হুজুরকে ঘরে বা মহল্লায় আনা জরুরী। হাজারো পরিবার আছে, তিনপুরুষ মিলেও একবার কোনও হুজুরকে বাড়িতে আনার সৌভাগ্য হয়নি। না না, খাবার-দাবারের ‘মোল্লাপ্রথার’ কথা বলছি না, হুজুরের কাছ থেকে নসীহত শোনার উদ্দেশ্যে দাওয়াতের কথা বলছি।

৮: আমরা বিখ্যাত, তুমুল ব্যস্ত শিডিউলড, পেশাদার বক্তা হুজুরের কথাও বলছি না। ব্যস্ততার কারণে তাদেরকে সবসময় মনের মতো করে পাওয়া যায় না। হুজুর বাছাই করতে হবে, অনলাইন-মিডিয়ার প্রভাব ও মোহমুক্ত হয়ে।

৯: আর হাঁ, এই ব্যবস্থা শুধু আওয়াম মানে জেনারেল শিক্ষিত পরিবারের জন্যই নয়, আলিম পরিবারের জন্যও জরুরী। ঘরের মানুষকে সবসময় সব কথা বলা যায় না। ঘরের মানুষ সবসময় কাছের মানুষের নসীহত গুরুত্বও দিতে চায় না। বাইরের কেউ এসে নসীহত করলে, বাড়তি গুরুত্ব থাকে।

১০: মানছি, পরিবারের সবাই অনলাইনে বিখ্যাত ব্যক্তিগনের বয়ান শোনেন। তারপরও বলব, অফলাইনে একান্ত ঘরোয়া আয়োজন দরকার। হাতের কাছে পাওয়া হুজুরদের হয়তো অনলাইনের মতো তেজালো ওজস্বী চৌকস স্টাইল নেই, হয়তো গুছিয়ে কথাও বলতে পারেন না, এতসব সত্ত্বেও ঘরোয়া আয়োজন দরকার।

১১: বেশিরভাগ অভিজ্ঞ আলিম কিন্তু এভাবে ঘরে ঘরে যেতে রাজি হবেন না। এই সমস্যা বা অচলাবস্থা অবসানের একটাই উপায়, হুজুরের সাথে প্রথমে ব্যক্তিগত ঘরোয়া সম্পর্ক গড়ে তোলা। হুজুরের জড়তা সংকোচ ভাঙানো। তারপর ঘরে তোলা। ইস্তেখারা ও হেকমতের সাথে অগ্রসর হলে, কোনও কাজই অধরা থাকে না।

১২: যাদের কথা বলার কিছুটা হলেও যোগ্যতা আছে, তাদের উচিত উম্মতের ডাকে সাড়া দেয়া। বড় দুর্দিন যাচ্ছে। উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থের দিকে তাকিয়ে হলেও গণমানুষের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া উচিত।

১৩: বিশুদ্ধ নববীধারায় হুজুর দাওয়াত দিয়ে ঘরে আনার সুন্নতী রেওয়াজ কিন্তু এখনো নির্দিষ্ট মহলে সীমিত পরিসরে হলেও বিদ্যমান আছে। এখন প্রয়োজন এর ব্যাপক প্রচলন।

রাব্বে কারীম আসান করুন। কবুল করুন।

⛔ ব্রেকিংঃ-
খেলা জমে গিয়েছে 🥳🥳
ইয়েমেন আমেরিকান-ব্রিটিশ আক্রমণ সফলভাবে প্রতিহত,
এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ও ডেস্ট্রয়ার টার্গেটিং অপারেশনের আপডেট দিয়েছে ইয়েমেন সশস্ত্র বাহিনী।

🔻👉 ৮টি ক্রুইজ মিসাইল ও ১৭টি ক্যামিকাযি ড্রোন দ্বারা অপারেশন সমূহ পরিচালিত হয়।

🔻👉 আমেরিকান
১টি F/A-18 Hornet যুদ্ধবিমানকে শট ডাউন করা হয়।

ডেস্ট্রয়ার সমূহ ইয়েমেনি মিসাইল ও ড্রোন মোকাবিলা চেষ্টার সময় এটিকে শট ডাউন করা হয়।

🔻👉 টার্গেটেড এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার USS Harry S. Truman কে রক্ষায় আক্রমণে আসা যুদ্ধবিমান গুলো ইয়েমেনের আকাশসীমা ছেড়ে যায়।
এতে ইয়েমেনে আক্রমণ চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

🔻 আক্রান্ত হওয়ার পর এয়ারক্রাফট USS Harry S. Truman আগের অবস্থান ছেড়ে উত্তর লোহিত সাগরের দিকে পিছু হটে।

➤ স্পক্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহয়া সা'রি।

image