একটি বাস্তব অনুভব: আমি পাগড়ি পরেছি, আর তারা…
আজ আব্বুর সাথে একটি বাসায় সিসি ক্যামেরা লাগাতে গিয়েছিলাম। আমার মন সেদিকে যেতে চাইছিল না—কেন জানি অস্বস্তি হচ্ছিল। আমাদের কোম্পানিতে কর্মী নেই, তাই আব্বুর সঙ্গে আমাকে যেতে হয়। আব্বু প্যান্ট-শার্ট পরে, মাথায় টুপি। আর আমি চেষ্টা করি ইসলামের প্রতীক ধারণ করতে—পাঞ্জাবি, পায়জামা আর কালো পাগড়ি পরি, যাতে অন্তত আমার পোশাকে আমার ধর্মের পরিচয় থাকে।
কিন্তু সেই বাসায় পৌঁছেই চোখের সামনে এমন এক দৃশ্য খুলে গেল, যা আমার অন্তরকে নাড়িয়ে দিল। বাসার কোনো পুরুষ অভিভাবক নেই। আর ঘরের নারীরা পর্দাহীন—কেউ মাথায় কাপড় দেয়নি, কেউ এমন পোশাকে ছিল যা আমাকে চোখ নামিয়ে নিতে বাধ্য করেছে।
আমি তো সেখানে পেশাদার কাজের জন্য গিয়েছিলাম, কিন্তু পরিবেশটা এমন ছিল, যেন আমি ভুল জায়গায় চলে এসেছি। বারবার মনে হচ্ছিল—আমি তো মুসলমান, আমার চোখ একটা আমানত। কিন্তু তারা কেন এই আমানতের প্রতি সহানুভূতিশীল নয়?
আমার পাগড়ি যেন ভারী হয়ে উঠেছিল…
আমি যেন অপরাধী হয়ে গিয়েছিলাম, শুধুমাত্র ভালো পোশাক পরে একজন ভদ্র মানুষ হতে চাওয়ার অপরাধে।
ইসলাম আমাদের সবাইকে হায়া শিখায়—পুরুষ হোক বা নারী।
আমি শুধু চোখ নামিয়েছি,
কিন্তু তারা কি অন্তত মাথা একটু ঢাকতে পারত না?
---
এই সমাজে যদি আমরা পরস্পরের প্রতি সম্মান হারিয়ে ফেলি, তবে নিরাপত্তা ক্যামেরা কোনো কাজেই আসবে না। আগে দরকার তাকওয়া, হায়া আর পর্দার সংস্কৃতি—যা আমাদের অন্তর ও সমাজকে রক্ষা করবে।
“আমি পাগড়ি পরেছি…”
আমি পাগড়ি পরেছি মাথায়,
পাঞ্জাবি-পায়জামা গায়ে।
চলেছি হালাল রিজিক খুঁজতে,
একটা ক্যামেরার কাজে।
ঘরে ঢুকে থমকে গেলাম,
চোখ নিচু, মন ভারী।
কেউ পর্দাহীন, কেউ পাতলা জামা,
নেই লজ্জা, নেই সততার খোঁজারি।
আমি তো এসেছি পেশাদার হয়ে,
তাদের নিরাপত্তা দিতে।
কিন্তু তারা কেন ভুলে গেলো,
আমার চোখও একটা ‘আমানত’ দিতে?
পুরুষ অভিভাবক কেউ নেই,
নারীরা নির্লজ্জ সাজে।
আমি যে মুসলিম তরুণ,
তা কি তাদের চোখে বাজে?
পাগড়ি দেখে ভাবল না তারা,
পর্দা করবে কিছুখন?
আমি তো চোখ নামিয়েছি,
তারা কেন দিল না সম্মান?
ইয়া আল্লাহ! তুমি হেফাজত করো
আমার চোখ, মন আর পথ।
এই সমাজে ফেরাও হায়া,
তাকওয়ার আলো দাও যথাযথ।
---
#আমি_পাগড়ি_পরেছি
#তাকওয়ার_পথে
#deeniloyalstore
#islamicawareness
#পর্দা_সবার_জন্য
#modestymatters
কাবা শরীফের উপরের ছবিটি ১৯৫৩ সালে তোলা, আর নিচেরটি ২০২৫ সালে! ৭২ বছরে বদলে গেছে চারপাশ!
.
.
#makkah #makkah_al_mukaaramah #makkamadina #itihaser_golpo #itihasergolpo
মানুষ সবসময় প্রকৃতির সাথে মানিয়ে চলেছে এবং প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়েছে। তুরস্কের হারানের মৌচাক আকৃতির ঘরগুলো এর অসাধারণ উদাহরণ। প্রায় ৩,০০০ বছর আগে এই ঘরগুলো তৈরি হয়। বর্তমানে বেশিরভাগই পর্যটকদের দেখার জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। তবে এগুলো এখনো প্রাচীন জীবনের কথা মনে করিয়ে দেয়।
হারান একসময় খুব গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল। এটি নিনেভেহ থেকে কারকেমিশ যাওয়ার পথের পাশে অবস্থিত ছিল। এই শহরের নাম বাইবেলেও উল্লেখ রয়েছে। প্রথমবার হারানের নাম পাওয়া যায় প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ সালে, যখন একজন ইবলাইট রাজকন্যা হারানের রানি হন। কিন্তু সময়ের সাথে শহরটি তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে। আজ এটি তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তে একটি ছোট্ট গ্রাম মাত্র।
এই ঘরগুলো ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে। কাদামাটি ও ইট দিয়ে তৈরি এই ঘরগুলো গরমকালে ঠাণ্ডা এবং শীতকালে উষ্ণ থাকে। গোল আকৃতির হওয়ায় ঝড় ও প্রবল বৃষ্টির ধাক্কা সামলাতে পারে এগুলো।
হারান গ্রামের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো এই মৌচাক আকৃতির সারি সারি ঘর। পুরোপুরি কাদা বা মাটির ইট দিয়ে তৈরি এই ঘরগুলো ভিতরে ঠাণ্ডা রাখতে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। উপরের গোল আকৃতির ছাদে থাকা ছোট ফাঁক দিয়ে গরম বাতাস বের হয়ে যায়, যা ঘরকে ঠাণ্ডা রাখে। এই নকশা শুধু হারানে নয়, আফ্রিকা ও স্কটল্যান্ডসহ বিশ্বের অনেক জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ঘরগুলোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এগুলো ভূমিকম্প, প্রবল ঝড় ও ভারী বৃষ্টিতে টিকে থাকতে পারে। আর ঘর বড় করতে চাইলে কাছে নতুন একটি ঘর তৈরি করে মাঝখানে খিলান তৈরি করলেই হয়।
.
.
#harran #turkey #turkiye #itihaser_golpo #itihasergolpo
La Ilaha Illallahu Muhammadur Rasulullah Sallallahu Alaihi Wasallam
Jahidul Islam
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?
jakir Hosain
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?
Muhammad Rumi
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?