মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বীর উত্তম উপাধি পাওয়া মেজর ডালিমের নিজ মুখে বলা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ক্রিটিক করছে মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে ব্যবসা করা নব্য চেতনাবাজরা!

এভাবেই তো এতদিন মুক্তিযুদ্ধ না করেও জাফর ইকবাল আর শাহরিয়ার কবির ওরফে চিকেন কবিররাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখতো। এখন যখন আসল রণাঙ্গণের খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা এসে আসল তথ্য ফাঁস করে দিল তখন তাদের আর সহ্য হচ্ছেনা!

মেজর ডালিম এর বদৌলতে যে ইতিহাসগুলো জাতির সামনে উন্মোচিত হলো:

১. প্রবাসী সরকার গঠনের সময় ইন্ডিয়ার দেয়া পরাধীনতামূলক ৭টা ক্লস সাইন করে নজরুল ইসলাম ফিট হয়ে পড়ে যায়।
২. ভারতীয় নাগরিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গানকে জাতীয় সংগীত হিসেবে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।
৩. মুজিব নিজে স্বয়ং ধরা দিয়ে পাকিস্তানি আর্মির কাছে ফ্যামিলির দায়িত্বভার দিয়েছিল।
৪. মুজিবকে মারা হয় নাই। একটা সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছে।
৫. কোরআন শপথ করে জিয়াউর রহমান সেনা পরিষদের (আগস্ট বিপ্লবীদের) সাথে থাকার ওয়াদা করেন। তিনি ক্ষমতা সুসংহত করতে ৪০০০ লোককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।
৬. জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, ও নিজেকে অস্থায়ী সরকারের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু পরে ভারতের চাপে বলেন, "শেখ মুজিব এর পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলাম।"
৭. মুজিবকে ক্ষমতাচ্যুত করায় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানও জড়িত ছিল।
৮. একজন মুসলিম হিসেবে মেজর ডালিম কাউকে জাতির পিতা মানেন না।
৯. মুজিব কখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি।
১০. সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনী সরানোতে ভূমিকা ছিল পাকিস্তানের। কারণ ইন্ডিয়ান সেনাবাহিনী বাংলাদেশে থাকলে বিদেশ থেকে স্বীকৃতি আসছিল না।
১১. ডারত তৎকালীন ১৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ বাংলাদেশ থেকে লুট করে নিয়েছিল যার পারমিশন দিয়েছিল মুজিব সরকার।
১২. জহির রায়হান আওয়ামী লীগ এর অপকীর্তি আর ডারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ডকুমেন্টারি বানাচ্ছিলেন। এজন্য তাকে হত্যা করা হয়।
১৩. মুক্তিযুদ্ধে সর্বমোট শহিদের সংখ্যা ৩০ লক্ষ নয়, ৩ লক্ষ।
১৪. মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষণের শিকার নারীদের সংখ্যা ২ লক্ষ নয় বরং আরো অনেক কম। মেজর ডালিম মাত্র ২ জনকে পেয়েছিলেন।
১৫. ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিলো ভারতীয় বাহিনী।
১৬.সিরাজ সিকদারকে পরিকল্পনা করে হত্যা করে মুজিব।

-কার্টেসি: Shaikh Noor E Alam

image