চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা-
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চিকিৎসার প্রয়োজন অতুলনীয়। আমরা প্রতিদিনই প্রায় অসুস্থ হই। আমাদের ছুটে যেতে হয় ডাক্তারের কাছে। প্রথমত তারা আমাদের অসুখ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। রোগ ধরে পড়লে আমাদের ঔষধ দেন৷ সেই ঔষধ খেয়ে আমরা সুস্থ হই৷ সুতরাং দৈনন্দিন জীবনে চিকিৎসার বিকল্প নেই।
শরীয়তের দৃষ্টিতে চিকিৎসা গ্রহণ বৈধ কি-না -
কেউ কেউ বলেন চিকিৎসা গ্রহণ করা তাওয়াককুলের পরিপন্থী। আমাদের যেকোনো কিছুতে আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। তিনি আমাদের সুস্থ করবেন। সুতরাং তার উপর তাওয়াককুল না করে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত নয়।
কিন্তু অধিকাংশের মতে চিকিৎসা গ্রহণ করা বৈধ। চিকিৎসা গ্রহণ করা তাওয়াককুলের পরিপন্থী নয়৷ কুরআন ও হাদিসেও চিকিৎসা গ্রহণ সম্পর্কে বলা হয়েছে। সুতরাং কুরআন ও হাদিসের দিকে দৃষ্টি দিলে বুঝে আসে, চিকিৎসা গ্রহণ শুধু বৈধই নয়, চিকিৎসা গ্রহণের প্রতি উদ্বুদ্ধও করা হয়েছে।
হাদিসে এসেছে -
একবার হজরত সা'দ বিন আবী ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু অসুস্থ হলে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকটে গিয়ে বুকে হাত রাখলেন। তখন সে শান্তি অনুভব করলো। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন তুমি ছাকিফ গোত্রের হারেস বিন কালদার কাছে যাও, সে ভালো চিকিৎসা করতে পারে।
হাদিস দ্বারা বুঝা যায়, চিকিৎসা করতে স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছেন। সুতরাং চিকিৎসা গ্রহণ করা শুরু বৈধই নয়, চিকিৎসার প্রতি উদ্বুদ্ধ করাও প্রকাশ পায়৷ অতএব চিকিৎসা গ্রহণ তাওয়াককুলের পরিপন্থী হতে পারে না।
সুতরাং আমরা অসুস্থ হলে চিকিৎসা গ্রহণ করবো। তবে আমাদের এটা মনে রাখতে হবে, চিকিৎসাই আমাদের সুস্থতার প্রধান উপকরণ নয়। আমাদের প্রধান উপকরণ আল্লাহ ইচ্ছা। আল্লাহর উপর ভরসা করে আমরা চিকিৎসা গ্রহণ করবো৷ আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।
madani7040 2 w
মাশা-আল্লাহ