সুনান ইবন মাজাহ এর একটা হাদিসে পাওয়া যায়,
একবার আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহার কাছে একজন মহিলা তার দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে আসলেন। আম্মাজান আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা মহিলার হাতে তিনটি খেঁজুর দিলেন যাতে তারা তিনজন খেতে পারে।
তিনটি খেঁজুর থেকে মহিলা তার দুই মেয়ের হাতে দুইটি খেঁজুর দিলেন এবং একটা রাখলেন নিজে খাওয়ার জন্য।
মেয়েরা নিজেদের ভাগে পাওয়া খেঁজুর দুটো খেয়ে আবার খেঁজুর চাইলে, নিজের জন্য রাখা খেঁজুরটা দুই ভাগ করে মহিলা তার দুই মেয়ের মাঝে সমানভাবে ভাগ করে দেন।
এই ঘটনাটা আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বিস্মিত করে এবং নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে ফিরলে তাঁকে ঘটনাটা জানান।
ঘটনা শুনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘অবাক হচ্ছো কেন? এই কাজটার জন্য উক্ত মহিলা জান্নাতে প্রবেশ করবে’।
কতো ছোট ছোট কাজের বিনিময়েই যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বান্দাদের জান্নাত দিয়ে দেন! আল্লাহু আকবার!
একটা খেঁজুর নিজে না খেয়ে, নিজের আপন বাচ্চাদের মাঝে ভাগ করে দিয়েছে। শুধু এতোটুকুই। একজন মা তার নিজের সন্তানের প্রতি দয়া দেখিয়েছে। শুধু একটা ছোট্ট খেঁজুর নিজে না খেয়ে বাচ্চাদের খেয়ে দিয়েছে—এতোটুকুই।
তাহলে, যারা নিজের সবটুকু দিয়ে বাবা-মা’র সেবাযত্ন করে, যারা সর্বোচ্চটুকু দিয়ে ভাই-বোন আর আত্মীয়স্বজনের হক আদায় করে, যারা প্রতিবেশির হক আদায়ে সর্বোচ্চ সতর্ক, তাদের বিনিময়টা কতো বিশাল হবে?
বিপদে, আপদে, দূর্যোগ দূর্ভোগের সময়ে যারা মানুষকে সাহায্য করার জন্য ছুটে যায়, বন্ধুর বিপদে যারা সহযোগিতার হাত বাড়ায়, যারা মানুষের মাঝে দ্বন্ধ দূর সম্পর্ক জোড়া লাগায়, যারা ভালো কাজের উৎসাহ দেয় আর মন্দ কাজ হতে মানুষকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় জীবনভর—তাদের বিনিময় কেমন হবে?
একটা ছোট্ট খেঁজুরের বিনিময়ে যেখানে জান্নাত পাওয়া যায়, দুনিয়ার কোন সে প্রতিবন্ধকতা যা আপনাকে এই জান্নাত লাভ থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে?
.
রেফারেন্স:
(১) সুনান ইবন মাজাহ, ৩৬৬৮
Md Abdul Basir
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?
Zihad Hossen
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?
Md Rohmotullah
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?
Mokhles Madani
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?